সারজীবন গুনাহ আর মৃত্যুর আগে তাওবাহ?


আচ্ছা নামাযটা পাচ ওয়াক্ত না পড়লে কি আর হবে, শুক্রবারে তো মাসজিদে যাওয়া হয়। অন্তর ঈমান তো ঠিকই আছে। খেলাটা বড্ড জমে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা খুব ভালো হচ্ছে। এখন নামায পড়তে গেলে কয়েক ওভার মিস হয়ে যাবে। আচ্ছা নামাটা না হয় পরেই পড়া যাবে, নামায তো প্রতিদিনই আছে। . একটু আধটু গান শুনলে, সিনেমা দেখলে কি আর সমস্যা? এতো কিছু কি আর আজকের যুগে মানা যায়, আল্লাহ ঠিকই মাফ করে দেবেন, ঈমান তো অন্তরে ঠিকই আছে। . সিগারেটটা নিয়মিত খাওয়া হয়...মাঝে মধ্যে ফ্রেন্ড্ররা একসাথে হলে একটু আধটু ড্রিঙ্কও করা হয়। নিছক মজার জন্য। এনজয় করার জন্য। আর কিছু না। জানি এটা হারাম। কিন্তু এখন না হলে কখন? এখনই তো সময়। পরে তাওবাহ করে নেওয়া যাবে। . হুম বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড, বিয়ের আগে ছেলেমেয়ের মেলামেশা ইসলামে হারাম। কিন্তু আজকের দিনে কয়টা ছেলে আছে বলুন যার গার্লফ্রেন্ড নেই? কয়টা মেয়ে আছে বলুন যে ছুটির দিনগুলোতে সেজেগুজে বের হয় নিজের বিএফের সাথে? বাবা-মারাও জানে এখন এসব। তারাও মেনে নিয়েছে। আসলে এটাই এযুগের নিয়ম, আর এ বয়সটাই তো বন্ধু, আড্ডা, গান আর হারিয়ে যাওয়ার। এতো নিয়ম মানলে হয় নাকি। আর আমি তো আসলেই ওকে ভালোবাসি। আল্লাহ নিশ্চয় বুঝবেন। . আল্লাহ ও আর রাসূল ﷺ ছেলেদের দাড়ি রাখার কথা বলেছেন, টাকনুর উপর কাপড় রাখার কথা বলেছেন। কিন্তু কিরকম অদ্ভুত লাগবে আমাকে দাড়ি রেখে টাকনুর উপর কাপড় পড়ে হাটলে? ফ্রেন্ড সার্কেলের সবাই তো ঠাত্তা করবে আমাকে নিয়ে। থাক, আল্লাহ নিশ্চয় বুঝবেন। . আল্লাহ ফরয করেছেন পর্দা। কিন্তু...বোরকা পড়ার কথা চিন্তাও করতে পারি না। আমি শরীর দেখানোর জন্য পর্দা করছি না এমন তো আর না। আমি এমনিতেই শালীন-শোভন ভাবে অন্য কাপড় পড়লাম সমস্যা কি। আল্লাহ কি এটুকু বুঝবেন না? . সুদ হারাম। কিন্তু ব্যাংক জবের স্যালারি সবচেয়ে বেশি, আর এখন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই এমন মানুষ আছে নাকি। সবাই ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে দোষ না, আমি ব্যাঙ্কে চাকরি করলে দোষ নাকি? বরং স্যালারির বাড়তি অংশটা জমিয়ে আমি আগে আগে হজ্ব করে ফেলবো ইন শা আল্লাহ। . এটাই তো সময়, এটাই তো বয়স। একটু আধটু মজা, একটু আধটু গুনাহ তো এখন হবেই। সব সময় সব নিয়ম কি মানা যায় নাকি। এখন এগুলো করে নেই, মনের শখ পূরণ করে নেই পরে বয়স হলে হজ্ব করে, তাওবাহ করে নেবো। আল্লাহ তো বুঝবেনই... . . এরকম চিন্তা আমরা অনেকেই করি। যা কিছু করার করে নেই, পরে তাওবাহ করে নিলেই হবে। কিন্তু সমীকরনটা কি আসলে এতোই সহজ? যিনি আসমান সমূহ ও যমীনের অধিপতি, যিনি অনস্তিত্ব থেকে সকল কিছুকে অস্তিত্বে আনেন, যিনি সর্বজ্ঞ, সর্বজ্ঞানী, অন্তর্যামী – তাঁকে কি এ যুক্তি দিয়ে পার পাওয়া যাবে? নিজের স্রষ্টার সাথে কি চালাকি চলে? . “তারা পরিকল্পনা করে এবং আল্লাহ পরিকল্পনা করেন এবং আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী” . . আল্লাহ কি বাধ্য আমাদের অজুহাত বুঝতে? নাকি আমরা বাধ্য আল্লাহ ‘আযযা ওয়া জালের আদেশ মানতে? . #KnowYourDeen

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পুরুষদের জন্য সিল্ক ব্যবহার করা হারাম।

বিয়ে, দ্বীনদার স্ত্রী এবং মানসিক সাপোর্ট !

ফাতিমার ঐতিহাসিক সেই চিঠি ও "Happy New Year''