পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কেন এত ভূমিকম্প সংগঠিত হয়?

লিখেছেনঃ আবদ্ আল-আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাজ (রহিমাহুল্লাহ) (সাবেক প্রধান মুফতি, সৌদি আরব) কেন এত ভূমিকম্প সংগঠিত হয়? এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এবং শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের, তাঁর পরিবারের উপর, তাঁর সাহাবাদের উপর এবং তাদের উপর যারা তাদের অনুসরণ করেন। মহান আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, তাঁর ইচ্ছা এবং তিনি যা কিছু প্রেরণ করবেন সে সকল বিষয়ে তিনিই সবকিছু জানেন এবং তিনি সর্বাধিক জ্ঞানী এবং সর্বাধিক অবহিত তাঁর আইন কানুন ও আদেশ সম্পর্কে। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাহদেরকে সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের নিদর্শন সৃষ্টি করেন এবং বান্দাহর উপর প্রেরণ করেন যাতে করে তারা মহান আল্লাহ কর্তৃক তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন ও ভীত হয়। বান্দাহরা মহান আল্লাহর সাথে যা শিরক করে (অর্থাৎ, ইবাদত করার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর সাথে অংশিদারিত্ব করে) এবং তিনি যা করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি এই নিদর্শন সমূহ প্রেরণ করেন যাতে করে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে, তাদের বোধদয় হয় এবং তাদের রবের দিকেই একনিষ্ঠভাবে ইবাদত করে। মহান আল্লাহ বলেন: “(আসলে) আমি ভয় দে

আমাদের ঘর কি ইসলামি ঘর?

আল্লাহ সুবহ়ানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন, “আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরে বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন…” [১] প্রশ্নটা হয়তো শুনতে কিছুটা অদ্ভুত লাগতে পারে। অনেকে হয়তো শোনা মাত্রই বলে বসবেন, “আমার বাড়ি অবশ্যই ইসলামিক বাড়ি!! আমরা মুসলিম পরিবার, কাজেই আমাদের বাড়ি পুরোপুরি ইসলামিক!!” আসলেই কি? নিচে দেওয়া ছোট্ট চেকলিস্টের সাথে মিলিয়ে দেখুন তো আসলেই আপনার বাড়ি ইসলামিক কি না? ১. আমি একজন ধার্মিক জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছি ধার্মিক ও ন্যায়নিষ্ঠ জীবনসঙ্গীর ব্যাপারে অনেক হ়াদীস়েই গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে। কেন বলা হয়েছে সেটাও স্পষ্ট: সাধারণ জীবনসঙ্গীদের তুলনায় একজন ধার্মিক জীবনসঙ্গী সংসারে অধিক সুখ ও পরিতৃপ্তির পরিবেশ গড়ে তুলতে পারবে। স্ত্রী ধার্মিক হলে অন্যান্য স্ত্রীদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে। ধার্মিক স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে গড়ে তুলতে পারবে একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও ধার্মিক পরিবার। আর এটাই ইসলামিক বাড়ির মূল ভিত্তি। ২. আমি আমার জীবনসঙ্গীকে সাহায্য করি প্রত্যেকের নিজ নিজ কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন, দুজনের মধ্যে মমতা ও ভালোবাসার বন্ধনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক একটি পরিবার। অন্যান্য আধ

নারী ও পুরুষদের মাহরাম

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য। আর দরুদ ও সালাম নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তার বংশধর ও সাহাবীগণের উপর। নারী ও পুরুষদের মাহরাম [যাদের একে অপরের সহিত বিবাহ বন্ধন হারাম এবং তাদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ জায়েয] এই মাহরামগণ ব্যতীত অন্যদের সহিত দেখা-সাক্ষাৎ, আড্ডা বা বাইরে-ভ্রমনে বের হওয়া হারাম। তবে, খুবই ‘যরুরত’ (প্রয়োজন) হলে কোন বিকল্প উপায় না থাকলে তাদের সাথে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কথা বলতে হবে। ‘মাহরাম’ শব্দের শাব্দিক অর্থ: যারা হারাম, এটা হালাল এর বিপরীত। আর শরী‘আতের পরিভাষায় ‘মাহরাম’ বলা হয় নিম্নেবর্ণিত তিন শ্রেণিকে: ক) الْمُحَرَّمَاتُ بِسَبَبِ النَّسَبِ (বংশগত/ঔরসজাত সম্পর্কের কারণে মাহরাম) খ) الْمُحَرَّمَاتُ بِسَبَبِ الْمُصَاهَرَةُ (বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে মাহরাম) গ) الْمُحَرَّمَاتُ بِسَبَبِ الرَّضَاعُ (দুধ-পানের কারণে হারাম) দ্র: ফিক্‌হী বিশ্বকোষ, কুয়েত (৩৬/২১৪) ও লিসানুল আরব ৩য় খণ্ড, পৃ: ১৩৯, ফতোয়ায়ে শামী, ২য় খণ্ড, পৃ: ১৪৫ এরা ছাড়া বাকী সবাই “গায়রে মাহরাম” (মাহরাম নহে)। এর অর্থ হল, ‘গায়রে মাহরামে’র

ভ্যালেন্টাইন ডে – ইসলামে কি ভালবাসা নিষিদ্ধ?

“ তাঁর নিদর্শনসমূহের মাঝে আরো হলো, তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের মাঝে প্রশান্তি খুঁজে পাও। আর তিনি তোমাদের মাঝে ভালোবাসা এবং সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই এর মাঝে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে ”। [সূরা আর-রূম, আয়াত ২১] পরবর্তী আয়াতগুলোতে আল্লাহ সুবহানু ওয়াতায়ালা তাঁর আরো কিছু উল্লেখযোগ্য নিদর্শনের বর্ণনা দিয়েছেন। এখানে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো, আল্লাহ নারী-পুরুষের মধ্যকার এই সম্পর্ককে স্থান দিয়েছেন রাত-দিন এবং আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিদর্শনের সাথে। অতএব বুঝতেই পারছেন, ভালোবাসা মোটেই তুচ্ছ কোন বিষয় নয়! “ কোন সন্দেহ নেই, তার জন্য আমার ভালোবাসায় কোন ঘাটতি ছিল না ” - বলুন তো, কথাগুলো কার হতে পারে? এই বাক্যটি ছিল আমাদের প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের, যা তিনি বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা সম্পর্কে। তিনি এখানে কোন লুকোছাপা করেননি। তিনি শুধু এও বলেননি যে, আমি তাকে ভালো বাসতাম। বরং তিনি তাঁর ভালোবাসাকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সবার মাঝে প্রকাশ করেছেন। সুতরাং এ থে

আল্লাহর নাম ও গুণাবলী বিষয়ে কিছু মৌলিক কথা

হাম্বলী মাজহাবের বিখ‍্যাত ইমাম ইবনুল জাওযী রহ. বলেন, سمعوا أن الله تعالى خلق آدم على صورته، فأثبتوا له صورة ووجها زائدا على الذات، وعينين وفماً ولهوات، وأضراسا وأضواء لوجهه هي السبحات، ويدين وأصابع وكفا وخنصرا وإبهاما وصدرا وفخذا وساقين ورجلين، ....، فسموها بالصفات تسميةً مبتدعةً لا دليل لهم في ذلك من النقل ولا من العقل،....، سموا الأخبار أخبار صفات، وإنما هي إضافات، وليس كل مضاف صفة، فإنه قال سبحانه وتعالى ﴿وَنَفَخْتُ فِيهِ مِن رُّوحِي﴾، وليس لله صفة تسمى روحا، فقد ابتدع من سمى المضاف صفة، তারা একটা হাদীস শুনেছে। আল্লাহ তায়ালা আদম আ.কে আদমের নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। এই হাদীস শুনে তারা আল্লাহর জন‍্য আকৃতি, সত্তার অতিরিক্ত চেহারা, দু’চোখ, মুখ, চোয়াল, মাড়ির দাঁত, চেহারার আলো ও ঔজ্জ্বল‍্য, দু’হাত, আঙ্গুলসমূহ, হাতের পিঠ, কনিষ্ঠাঙ্গুল, বৃদ্ধাঙ্গুল, বুক, রান, পায়ের পিন্ডলী এবং দু’পা সাব‍্যস্ত করেছে। এগুলোকে তারা বিদয়াতী (নব-আবিষ্কৃত) পদ্ধতিতে সিফাত বা আল্লাহর গুণ নাম দিয়েছে। এগুলো সিফাত হওয়ার ব‍্যাপারে না শরীয়তের কোন দলিল আছে, না যৌক্তিক কোন প্রমাণ আছে। এজাতীয় হাদীসগুলোকে তারা

মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। পোস্টের শুরুতেই একটি কথা বলে রাখা জরুরী মনে করছি আর তা হল এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা আল্লাহ্‌র হুকুমমতো নিজেরা চলতে চান এবং নিজের পরিবারকে আল্লাহ্‌র হুকুমমতো চালাতে চান তাদের জন্য, অবশ্যই সুশীল ও তথাকথিত আধুনিকমনাদের জন্য এই পোস্টটি নয়। ইসলাম বলে নারীর ক্যারিয়ার তার ঘরে, বাহিরে নয়। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.)এর হাদীস, সাহাবা(রাঃ)দের দৃষ্টান্ত, উলামাদের বক্তব্য ১৪০০ বছর ধরে সুবিদিত। কোন সত্যপন্থী আলেম নারীদের ঘরের বাহিরে কাজ করার ব্যাপারে অনুমতিজ্ঞাপক ফাতাওয়া দেননি। সেকুলারদের কথা বাদই দিলাম অনেক প্র্যাক্টিসিং মুসলিমাহ দাবিদাররাও নিজেদেরকে ক্যারিয়ারিস্ট ছাড়া যেন ভাবতেই পারেন না। ক্যারিয়ার গড়তে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, হেন করতে হবে তেন করতে হবে কতো যুক্তি তাদের। মুসলিম নারীদের ক্যারিয়ার তার ঘরে, বাহিরে নয়। এটাই ইসলামের দাবি। কারো মানতে ইচ্ছা হলে মানুক, ইচ্ছা না হলে মানবে না। হাশরের ময়দানেই বুঝা যাবে আল্লাহ্‌র হুকুমের বিপরীতে নিজের যুক্তি দিয়ে ইসলাম বুঝার ফল। আল্লাহ্‌ সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুক। “হিজাব করে মহিলারা পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মি

বয়স উনিশ বছর, বিয়ে করতে চাই, কিন্তু মা চায়না : কী করণীয়

প্রশ্নঃ আমার বয়স উনিশ বছর, আর আমি বিয়ে করতে চাই, কিন্তু আমার মা এটা চায়না কারণ সে মনে করে এখন আমার বিয়ের বয়স না। ইসলামে কি এটা অনুমোদিত যে একজন ছেলে তার মা-বাবার অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করবে, এবং ইনশা আল্লাহ অবস্থার উন্নতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাপারটা গোপন রাখবে? উত্তরঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর! প্রথমতঃ এটা ইসলামে অনুমোদিত, একজন পুরুষ তার পিতামাতার অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করতে পারবে, যদিও নারীদের ক্ষেত্রে বিবাহ বৈধ হবার জন্য তার ওয়ালীর বা অভিভাবকের অনুমতি নেয়াটা জরুরি। তবে বাবা-মার প্রতি সম্মান এবং সদয় আচরণ রক্ষার জন্য তাদের থেকে অনুমোদন নেয়া উচিত, কেননা এতে করে তাদের সাথে সৌহার্দ্যময় আর সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকবে। দ্বিতীয়তঃ আপনার উচিত আপনার মা কে বুঝিয়ে বলা কেন আপনার জন্য বিয়ে করাটা অতি জরুরি একটা বিষয়, আর তাকে মানানোর এবং তার অনুমতি নেয়ার সবরকম প্রচেষ্টা করুন। যদি তিনি এতে সায় দেন, তো আলহামদুলিল্লাহ! তবে যদি তিনি তার নিজের জিদে অটল থাকেন, তাহলে আপনি আপনার পছন্দের মেয়ে, যিনি সচ্চরিত্র এবং নিজের দ্বীনের প্রতি অটল, এমন একজনকে বিয়ে করে ফেললে আপনার উপর কোন গুনাহর ভার থাকবে না। বর্তমানকালের একটা প্রচলিত ভুল

১০ মুহাররাম: একটি সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতা

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম দেয়ালে ঝুলে থাকা হিজরি ক্যালেন্ডারের ফটোকপিটা মনে করিয়ে দিচ্ছে আজকে মুহাররামের দশ তারিখ। হিজরি ১৪৩৫ সাল। ইতিহাসের পাতায় ভর করে চলে গেলাম ১৪৩৩ বছর আগের ঠিক এই দিনে। মদিনাতে সেদিন একটি ছোট কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ কথোপকথন হয়। বিখ্যাত সাহাবা এবং একজন আলেম আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, তাঁর চাচাতো ভাই, শেষ নবী এবং আল্লাহ কর্তৃক মানবজাতির কাছে প্রেরিত শেষ রাসূল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল ইহুদির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন । তারা ঐদিন রোযা পালন করছিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন তারা কেন রোযা পালন করছে। তারা উত্তরে জানালো, “এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটা দিন। এই দিনে আল্লাহ তাঁর নবী মূসা (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর সম্প্রদায়কে ফিরআউন ও তার লোকজনের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই মূসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরুপ এই দিনে রোযা রাখতেন । তাই আমরাও এইদিনে রোযা রাখি।” অন্য বর্ণনায় এসেছে, “এই দিনে আল্লাহ মূসা (আলাইহিস সালাম) ও বনী ইসরাঈলকে ফিরআউনের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন।

মুসলিম রাষ্ট্রের মৌলিক নীতিমালাঃ- হযরত মাওলানা মুফতি তকী উছমানী

২২টি ধারা, যার উপর স্বীকৃত সকল ইসলামী দল একমত ইসলামী রাষ্ট্রের সংবিধানে নিম্নবর্ণিত বিধানাবলির সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকা আবশ্যক। ১. একমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীনই বিধানদাতা। প্রকৃতির বিধান তো তাঁরই, মানবজাতির জীবনযাপনের বিধানও একমাত্র তিনিই দান করতে পারেন। ২. রাষ্ট্রের সকল বিধি-বিধানের ভিত্তি হবে কুরআন-সুন্নাহ। কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না এবং কোনো ব্যবস্থাপনাগত বিধানও কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী হতে পারবে না। ৩. রাষ্ট্র কোনো শ্রেণী, ভাষা, ভূ-খন্ড বা এ জাতীয় কোনো চেতনার ভিত্তিতে গঠিত হবে না। রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হবে সেই সব বিধান ও লক্ষ্য, যার বুনিয়াদ ইসলামপ্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। ৪. ইসলামী রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য হবে কুরআন-সুন্নাহয় নির্দেশিত ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায় ও অসত্যের মূলোৎপাটন। ইসলামের শিআর ও নিদর্শনসমূহের স্বমহিমায় পুনরুজ্জীবন এবং স্বীকৃত ইসলামী দলগুলোর জন্য তাদের নিজস্ব মতাদর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা। ৫. ইসলামী রাষ্ট্রের অপরিহার্য কর্তব্য হবে, বিশ্ব মুসলিমের সাথে ঐক্য ও একাত্মতাকে সুদৃঢ় করা এবং রাষ্ট্রের মুসলিম অধিবাস

এপ্রিল ফুল (fool): নিজেকে নিজেই বোকা প্রমাণ করছিনা তো

১. ইরানে পার্সি ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষের ১৩তম দিনে আনন্দ মজা করা হয়। এই দিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিল ও ২রা এপ্রিল সদৃশ্য। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৬৪ সালে ফ্রান্সে নতুন ক্যালেন্ডার চালু করাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ফুল ডে'র সুচনা হয়। ঐ ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিলের পরিবর্তে ১লা জানুয়ারীকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কিছু লোক তার বিরোধিতা করে। যারা পুরনো ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী ১লা এপ্রিলকেই নববর্ষের ১ম দিন ধরে দিন গণনা করে আসছিল, তাদেরকে প্রতি বছর ১লা এপ্রিলে বোকা উপাধি দেয়া হতো। ফ্রান্সে পয়সন দ্য আভ্রিল(poisson d'avril) পালিত হয় এবং এর সাথে সম্পর্ক আছে মাছের। এপ্রিলের শুরুর দিকে ডিম ফুটে মাছের বাচ্চা বের হয়। এই শিশু মাছগুলোকে সহজে বোকা বানিয়ে ধরা যায়। সেজন্য তারা ১ এপ্রিল পালন করে পয়সন দ্য এভ্রিল অর্থাৎ এপ্রিলের মাছ। সে দিন বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের পিঠে কাগজের মাছ ঝুলিয়ে দেয় তাদের অজান্তে। যখন অন্যরা দেখে তখন বলে ওঠে পয়সন দ্য আভ্রিল বলে চিৎকার করে। কবি চসারের ক্যান্টারবারি টেইলস(১৩৯২) বইয়ের নানস প্রিস্টস টেইল এ এই দিনের কথা খুজে পাওয়া য

প্রবৃত্তির সাথে লড়াই - ( শাইখ আবদুল্লাহ আল আযযাম )

“..সুতরাং, তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে লড়ো, তখন, যখন তোমার পক্ষে ইচ্ছাপূরণ করা সম্ভব। মানুষের মন কিছুতেই ভরে না। তাই ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষাকে সুযোগ দেওয়ার অর্থ হলো – এক আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত লোকের সমুদ্র থেকে পানি খাওয়ার মতো। সে যতো বেশি পানি খায়, ততোই তার পিপাসা বাড়তে থাকে, কারণ সমুদ্রের নোনা জলে এই পিপাসা কখনোই মেটার নয়। রোমানদের দেখো, তারা সবরকম খাবার আর মিষ্টি খেতো। কোনোটা বাদ দিতো না। একসময় এমন অবস্থা হলো যে তাদের খাবারের রুচিই চলে গেলো। তখন তারা উপবাস থাকতে শুরু করলো, যাতে আবার খাবারে রুচি ফিরে পায়! তেমনি করে, তারা যৌনমিলনেও এতো বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়লো যে একটা সময়ে নারী দেখলেই তাদের ঘেন্না হতে লাগলো! তখন তারা শহর ছেড়ে দূর-দূরান্তে চলে যেতো, এরপর নারীর প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ ফিরে এলে শহরে ফিরে আসতো। পশ্চিমারা তো এখন যৌনতাকে এতো সস্তা করে ফেলেছে যে খাদ্য, পানীয়, অক্সিজেনের মতো “যৌনমিলন”ও এখন সর্বত্র বিরাজমান! কিন্তু ফলস্বরূপ কি দেখা যাচ্ছে? অগণিত ধর্ষণের কাহিনী, যৌনতার কারণে ছড়িয়ে পড়া নানান রকম রোগ, ইত্যাদি। এর কারণ হলো, মানুষের খায়েশ কখনো মেটে না। আকাঙ্ক্ষার কোন শেষ নেই। সাধ-আহ্লাদকে যে

বিয়ে, দ্বীনদার স্ত্রী এবং মানসিক সাপোর্ট !

এক. কথায় বলে, ভদ্রতার দাম নেই। এ কথাটি রাজনীতি, সমাজনীতি, বিভিন্ন নীতিতে যেমন সত্য, বিয়ের ক্ষেত্রে ততোধিক বেশি সত্য বলে মনে হয়। যতক্ষণ না ছেলের বিরুদ্ধে পাশের বাড়ীর চালে ঢিল মারার অভিযোগ আসছে ততক্ষণ অনেক অভিভাবক বুঝতেই চাননা ছেলের বিয়ের বয়েস হয়েছে। এক কথায় অনেক অভিভাবকের কাছে ছেলের বিয়ের উপযুক্ততার উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো ইভটিজিং। ছেলে ইভটিজিং করছে মানেই হলো ছেলের বিয়ের বয়েস হয়েছে, অপরদিকে ছেলেটি ভদ্রভাবে লেখাপড়া করছে, লেখাপড়া শেষে চাকুরী করছে, মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে, চুল পেকে যাচ্ছে, তবু্ও ছেলেটির বিয়ের বয়েস হয়নি, কারন সে অতি ভদ্র। যে সকল ছেলে মেয়েরা ভদ্রতা বজায় রেখে বিয়ের গোপন ইচ্ছেটা মনের সিন্দুকেই তালাবদ্ধ রাখে, আজকালকার অভিভাবকরা সবকিছু বুঝেও না বোঝার ভান করেন, পারেনতো মনের সিন্দুকটাকে শেকলবন্দী করে সমুদ্রের তলদেশে ডুবিয়ে দেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে মেয়েরা অনেকটা ভাগ্যবতী। অতীতকাল থেকেই মেয়েদের উপাজর্নে বাবা-মা অভ্যস্ত নয় বলে যতদ্রুত পারেন মেয়েকে পার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ইদানিং হঠাৎ করেই অভিভাবকরা অতিআধুনিক হয়ে উঠেছেন, মেয়ের লেখাপড়া শেষে রোজগেরে না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের চিন্তা করাকে তারা সে

ফাতিমার ঐতিহাসিক সেই চিঠি ও "Happy New Year''

সে ছিলো ভীষণ লাজুক। কৈশোর সবে পেরিয়েছে। ঘর থেকে একা বেরুত না। ঘর-কন্যার সামান্য ব্যাপারেই লজ্জায় মায়ের কোলে মাথা গুঁজে দিত। বাবা আর ভাই ছাড়া কোন পুরুষ মানুষকে সে ভালো করে জানতো না। তার বয়স এমন হয়ে গিয়েছিল যে, বাবার আদর আর ভাইয়ের প্রশ্রয় ছাড়াও স্বামী ব্যাপারটি সম্পর্কেও সে জেনে ফেলেছিল আর মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করছিল। বাবা-মা আর ভাইটি তাকে তাদের জীবনের চেয়েও বেশী ভালোবাসতো। আজন্মা লাজুক এ মেয়েটির জন্য তারা ভালো একটি ছেলে খুঁজছিলো। কন্যা আর বোনের আসন্ন বিদায়ের বেদনায় নিকষ কালো রাতে সবার অজান্তে বাবা আর ভাইটি গোপনে অশ্রু ঝরাতো। মেয়েটির নাম ছিলো ফাতিমা। আমার ঘরের বাইরে প্রাকান্ড সাউন্ড বক্সে 'হ্যাপি নিউ ইয়ারের' গান বাজছে- "ঝান্ডু বাম..."। প্রচন্ড শব্দে কান পাতা দায়। পাড়ার ছেলেরা চিৎকার করে করে নাচছে। ফাতিমার ঘরের বাইরেও প্রচন্ড শব্দ হতো এবং প্রায় প্রতিদিনই। শব্দগুলো ছিলো বোমা আর বুলেটের। তার বাসাটা ছিলো বাগদাদে। সে রাতটিও ছিলো নিকষ কালো রাত। বোনটি স্বামীর ঘরে চলে যাবে এটা ভেবেই ভাইটির চোখ বেয়ে নিরব অশ্রুপাত হচ্ছিলো। বাসার বাইরে কি কোন শব্দ হলো? গাড়ী থামার