পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুসলিম পুরুষদের আবশ্যিক প্রতীকঃ দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর কাপড় পরা

আজকে দাড়ি রাখাকে আমরা শুধুমাত্র হুজুরদের কাজ বলে পরিত্যাগ করেছি, মাদ্রাসা পড়ুয়াদের একচ্ছত্র সম্পত্তি বলে গণ্য করি, দুনিয়াবি শিক্ষিতদের কাছে দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর কাপড় পরা যেন তাদের স্মার্টনেসের পথে বিরাট এক বাধা। দাড়ি ও টাখনুর উপর কাপড় পরা যে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক বড় একটি হুকুম তা আমরা কেয়ারই করি না। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষটির দাড়ি ছিল, সবচেয়ে স্মার্ট মানুষটির জামা টাখনুর উপরে ছিল, মাথায় ছিল টুপি আর পাগড়ি, গায়ে ছিল লম্বা ঢিলেঢালা জামা (পাঞ্জাবি/জুব্বা)। কিছু সুন্নাহ আবশ্যিক তথা ওয়াজিব যা আদায় না করলে গুনাহ হবে আর কিছু সুন্নাহ আদায় না করলে গুনাহ হবে না কিন্তু রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাত হিসেবে আদায় করা আমাদের বিবেকের দাবি, ঈমানের দাবি। “যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকেই মুহাব্বত করল। আর যে আমাকে মুহাব্বত করল সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে।”(তিরমিযী, মিশকাত) হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে আমার সুন্নতের পরোয়া করবে না সে আমার উম্মত নয়।" (বুখারী, মুসল
জামা‘আতে শামিল হওয়ার গুরুত্ব !!! তাবেঈ ওবায়দুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ (রাঃ) বলেন, একদা আমি আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে বললাম, আপনি কি আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর রোগ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করবেন না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই করব। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রোগ যখন গুরুতর আকার ধারণ করল, তখন তিনি একবার বললেন, লোকেরা কি ছালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! না, তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার জন্য গামলায় (পাত্রে) পানি ঢাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা পাত্রে পানি দিলে তিনি ওযূ করলেন এবং খুব কষ্ট করে দাঁড়াতে চাইলেন; কিন্তু অজ্ঞান হয়ে গেলেন। অতঃপর জ্ঞান ফিরে এলে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, লোকেরা কি ছালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার জন্য পাত্রে পানি ঢাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তিনি উঠে বসলেন এবং ওযূ করলেন। অতঃপর দাড়াঁতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু আবার অজ্ঞান হয়ে গেলেন।জ্ঞান ফিরে

পুরুষদের জন্য সিল্ক ব্যবহার করা হারাম।

ঈদ উপলক্ষে সবাই পাঞ্জাবি কিনছে। কিন্তু না জানার কারণে একটি ব্যাপার অনেকেই খেয়াল করেন না আর তা হল পুরুষদের জন্য সিল্ক ব্যবহার করা হারাম। কিন্তু আপনি যেকোন পাঞ্জাবির দোকানে গেলেই প্রচুর সিল্কের পাঞ্জাবি পাবেন, তা আড়ং হোক, ইয়েলো হোক বা অন্যকোন ব্র্যান্ডের হোক না কেন। মসজিদে তরুণ থেকে শুরু করে বাপের বয়সী এমনকি অনেক বুড়োদের পর্যন্ত দেখা যায় উনারা সিল্কের পাঞ্জাবি পরেই সালাত আদায় করতে এসেছেন। অথচ তা সম্পুর্ণ হারাম। তিনি আসলে সিল্ক পরেননি, পরেছেন জাহান্নামের কুন্ডলি। আড়ংসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শপগুলোতে মূলত তিন ক্যাটাগরির পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। সিল্ক, কটন এবং এন্ডি সিল্ক (ENDI silk)। পিউর সিল্ক খুব সহজেই বোঝা যায় কিন্তু ENDI silk বোঝা একটু টাফ। এই সিল্কের কাপড়গুলো হালকা খসখসে হয়। তাছাড়া পাঞ্জাবির গায়ে লাগানো ট্যাগে লেখাও থাকে। অনেকেই না জানার কারণে এই হারাম জিনিস গায়ে দেন। ENDI silk আর আর্টিফিশিয়াল সিল্ক আলাদা। ENDI silk তো সরাসরি হারাম। আলিমরা বলেন আর্টিফিশিয়াল সিল্ক তথা কৃত্তিম সিল্ক জায়েজ তবে সেইফ সাইডে থাকার জন্য একজন মুমিনের উচিত সকল সন্দেহজনক হারাম থেকে দূরে থাকা। কেননা আর্টিশিয়াল সিল্কের

ফেইসবুকে কোন পোস্ট করার আগে ভেবে দেখা উচিত আমি কেন তা করছি

ফেইসবুকে কোন পোস্ট করার আগে ভেবে দেখা উচিত আমি কেন তা করছি। এতে কি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি আছে নাকি দুনিয়াবি অন্যকোন স্বার্থও আছে। দ্বিতীয়টি হলে অবশ্যই আমাদের পোস্ট করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা তখন তা অহেতুক কাজে পরিণত হবে। আর একজন মুমিন অহেতুক কাজে সময় নষ্ট করতে পারে না। নিজেকে জাহির করা, বেশি বেশি লাইকের প্রত্যাশা করা, অপরজনের ভুলকে রিফিউট করতে গিয়ে লাগামছাড়া কথা বলা, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে গীবত করা এগুলো সবই পরিত্যাজ্য। এগুলো আখিরাতে কোন কাজেই আসবে না। অবশ্যই ভুলের প্রতিবাদ, রিফিউটেশান হবে। তবে তা হতে হবে শারিয়ার সীমার মাঝে থেকে। যে শত শত মানুষের সামনে ভুল মেসেজ পৌঁছাচ্ছে তার ভুলকেও সংশোধনের নিয়াতে তুলে ধরতে হবে শত শত মানুষের সামনে যেন মানুষ তার কথায় বিভ্রান্ত না হয়। তবে দেখতে হবে তাকে ইনবক্সে বুঝিয়ে লাভ হবে কিনা। যদি লাভ হয় তবে প্রকাশ্যে তার ভুল দেখানোর আগে ইনবক্সেই তাকে বুঝানো উচিত। যদি ঘাড় ত্যাড়া স্বভাবের হয় আর নিজের ভুল আইডিওলোজি স্প্রেড করতে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে কীবোর্ডে হাত দেয়াকে ওয়াজিব মনে করি। তবে এক্ষেত্রে আদাব আর শালিনতা বজায় রাখা উচিত। ইখলাসের সাথে দেয়া এ

পরীক্ষা গুনাহ থেকে পরিশুদ্ধির উপায়

কিছু জিনিস আগুনে পুড়ে যায়, কিছু জিনিস বিশুদ্ধ হয়। . তাওহীদের পথে চলতে গেলে পরীক্ষা আসবেই। এটাই নিয়ম। এ পরীক্ষাসমূহের মাধ্যমে আর-রাহমান তার বান্দাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে নেন তাদেরকে যারা লাভ করবে তাঁর নৈকট্য। এ পরীক্ষাসমূহের মাধ্যমে আর-রাহমান তার বাছাইকৃত বান্দাদের মর্যাদা দান করেন, সম্মানিত করেন। . যার দ্বীন পালনে কাফির-যালিমদের পক্ষ থেকে বাধা আসে না হয়তো তার চিন্তা করার সময় এসেছে সে সত্যিই দ্বীন ইসলাম সম্পূর্ণ ভাবে পালন করছে কি না। নিশ্চয় যে পথে চলতে গেলে বাধা আসে না, যে পথ কণ্টকাকীর্ণ নয়, সে পথ দ্বীন ইসলামের পথ নয়। খুব চমৎকার ভাবে এই পথের পরিচয় দিয়েছেন ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ, কয়েকটি লাইনে ফুটিয়ে তুলেছেন চিন্তার একটি সমুদ্র - . এ পথ তো সে পথ!!!। যে পথে চলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পরেছিলেন আদাম। ক্রন্দন করেছেন নূহ। আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন ইব্রাহীম খলীল। যবেহ্‌ করার জন্য শোয়ানো হয়েছে ইসমাইলকে। খুব স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে ইয়ূসুফকে, কারাগারে কাটাতে হয়েছে জীবনের দীর্ঘ কয়েকটি বছর। জাকারিয়াকে করাত দ্বারা দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে। যবেহ্‌ করা হয়েছে নারী সংশ্রব থেকে মুক্ত সায়্যেদ ইয়াহইয়া

ভুমিকম্পঃ আপনার রবের পক্ষ থেকে এক সতর্কবার্তা

শেষবার যখন ভূমিকম্প হল...যখন রাতের শেষভাগে প্রচণ্ড কম্পনে, প্রচণ্ড শব্দে, আদিম আতঙ্ক নিয়ে জেগে উঠে আমরা দেখলাম পায়ের নিচে মাটি প্রবল ভাবে প্রকম্পিত হচ্ছে তখন বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক এবং কলাম লেখক আমাদের শেখাতে চাইলেন ভূমিকম্প হলে ভয় পাবার কিছু নেই। সবই টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়া মাত্র। বিখ্যাত লেখকের লেখার কারনেই কি না কে জানে, ভূমিকম্পের দিন দেখা গেল ফেইসবুকে ভূমিকম্প সেলফি আর ভূমিকম্পের “চেক-ইন” ভাইরাল। . আচ্ছা কল্পনা করুন তো...ঠিক আগের বারের মত একদিন ভোর রাতে ভূমিকম্প শুরু হল। গত কয়েক বছরে বার কয়েক ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতার অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় এবার আর হুড়োহুড়ি করে আপনি নামলেন না। গত কয়েক বারে দেখেছেন মিনিট দুয়েকের মধ্যে ভূমিকম্প থেকে যায়। . আপনি শান্ত হয়ে বসে অপেক্ষা করছেন। হাতে ঘড়ি। ভূমিকম্পের সময় সবাই যখন হুড়োহুড়ি করছিল তখন আপনি হাতে ঘড়ি নিয়ে বসেছিলেন –গল্পটা সকালে কিভাবে রসিয়ে রসিয়ে করবেন চিন্তা করে মুখের কোণে এক চিলতে হাসি। . কিন্তু আপনি একটু অবাক হয়ে দেখলেন ভূমিকম্প থামছে না। কমে আসার বদলে কম্পন বেড়েই যাচ্ছে। সিলিং ফ্যান বিপদজনক ভাবে দুলছে। খাট এতোক্ষণ কাঁপছিল, এখন মনে

সারজীবন গুনাহ আর মৃত্যুর আগে তাওবাহ?

আচ্ছা নামাযটা পাচ ওয়াক্ত না পড়লে কি আর হবে, শুক্রবারে তো মাসজিদে যাওয়া হয়। অন্তর ঈমান তো ঠিকই আছে। খেলাটা বড্ড জমে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা খুব ভালো হচ্ছে। এখন নামায পড়তে গেলে কয়েক ওভার মিস হয়ে যাবে। আচ্ছা নামাটা না হয় পরেই পড়া যাবে, নামায তো প্রতিদিনই আছে। . একটু আধটু গান শুনলে, সিনেমা দেখলে কি আর সমস্যা? এতো কিছু কি আর আজকের যুগে মানা যায়, আল্লাহ ঠিকই মাফ করে দেবেন, ঈমান তো অন্তরে ঠিকই আছে। . সিগারেটটা নিয়মিত খাওয়া হয়...মাঝে মধ্যে ফ্রেন্ড্ররা একসাথে হলে একটু আধটু ড্রিঙ্কও করা হয়। নিছক মজার জন্য। এনজয় করার জন্য। আর কিছু না। জানি এটা হারাম। কিন্তু এখন না হলে কখন? এখনই তো সময়। পরে তাওবাহ করে নেওয়া যাবে। . হুম বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড, বিয়ের আগে ছেলেমেয়ের মেলামেশা ইসলামে হারাম। কিন্তু আজকের দিনে কয়টা ছেলে আছে বলুন যার গার্লফ্রেন্ড নেই? কয়টা মেয়ে আছে বলুন যে ছুটির দিনগুলোতে সেজেগুজে বের হয় নিজের বিএফের সাথে? বাবা-মারাও জানে এখন এসব। তারাও মেনে নিয়েছে। আসলে এটাই এযুগের নিয়ম, আর এ বয়সটাই তো বন্ধু, আড্ডা, গান আর হারিয়ে যাওয়ার। এতো নিয়ম মানলে হয় নাকি। আর আমি তো আসলেই ওকে ভালোবাসি। আল্লাহ

জামা‘আতে শামিল হওয়ার গুরুত্ব !!!

জামা‘আতে শামিল হওয়ার গুরুত্ব !!! তাবেঈ ওবায়দুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ (রাঃ) বলেন, একদা আমি আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে বললাম, আপনি কি আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর রোগ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করবেন না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই করব। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রোগ যখন গুরুতর আকার ধারণ করল, তখন তিনি একবার বললেন, লোকেরা কি ছালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! না, তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার জন্য গামলায় (পাত্রে) পানি ঢাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা পাত্রে পানি দিলে তিনি ওযূ করলেন এবং খুব কষ্ট করে দাঁড়াতে চাইলেন; কিন্তু অজ্ঞান হয়ে গেলেন। অতঃপর জ্ঞান ফিরে এলে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, লোকেরা কি ছালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার জন্য পাত্রে পানি ঢাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তিনি উঠে বসলেন এবং ওযূ করলেন। অতঃপর দাড়াঁতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু আবার অজ্ঞান হয়ে গেলেন।জ্ঞান ফিরে

কুরআনের কয়েকটি বিশেষ সূরা ও আয়াতের ফজীলত

কুরআনের কয়েকটি বিশেষ সূরা ও আয়াতের ফজীলত বাজারে প্রচলিত বিদ’আত ও ভুলে ভরা বই এ আমরা কুরআনের প্রত্যেকটি সূরার কোন না কোন ফজীলতের কথা পড়েছি। অথচ এগুলো অনেকাংশেই দুর্বল ও জাল হাদিসের উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে কুরআনের যেসব সূরা ও আয়াতের কথা সহীহ হাদিসে বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখিত হয়েছে, সে হাদিসগুলো একত্রে উপস্থাপন করা হল। সূরা ফাতিহা ১) আবু সাইদ রাফে’ ইবনে মুআল্লা (রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে বললেন, “মসজিদ থেকে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কি কুরআনের সব চেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব না?” এই সাথে তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর যখন আমরা বাহিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, তখন আমি নিবেদন করলাম, “ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! আপনি যে আমাকে বললেন তোমাকে অবশ্যই কুরআনের সব চেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব?’ সুতরাং তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’ (সূরা ফাতেহা)। এটি হচ্ছে ‘সাবউ মাসানি (অর্থাৎ নামাযে বারংবার পঠিতব্য সপ্ত আয়াত ) এবং মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে”। (সহীহুল বুখারি ৪৪৭৪) সূরা ইখলাস ২) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে

আল কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান এর সাদৃশ্য । পর্ব : ০২

আল্লাহ্ র বানী যে আল- কুরআন তার প্রমান- (২) চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত কোন নাস্তিক আছেন কি পবিত্র কোরআন শরিফের বিপক্ষে,,,,,,,,? # ইরাম শহর এর রহস্য :- কোরআন মাজিদের [সূরা আল ফজর]এর ৭ নং আয়াতে ইরাম নামক একটি শহর এর ধ্বংস এর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইরাম নামক কোন শহর এর নাম পৃথিবীর ইতিহাসে খুজে পাওয়া যায় না। এজন্য ঐতিহাসিক ও তাফসির কারকগণ ঐ শহরটির সম্বন্ধে কোন ব্যাখ্যা দিতে পারতেন না। বহুদিন ধরেই বেশ রহস্য তৈরী করে রেখেছিল কোরআন। ১৯৭৩ সালে সিরিয়ার এরলুস নামক একটি প্রাচিন শহর খননের সময় কিছু শিলালিপি পাওয়া যায়। এ সমস্ত লিপি পর্যবেক্ষন করে সেখানে ৪০০০ বছরের পুরনো একটি সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। শিলালিপিগুলোতে উল্যেখ পাওয়া যায় ইরাম নামক একটি শহরের নাম, যে শহরের সাথে তৎকালীন এরলুস শহরের লোকজন ব্যবসা-বানিজ্য করতো। এই সত্যটা অবিস্কার,,,,,,,, এই সত্যটা অবিস্কার ,,,,,,,, হলো মাত্র সেদিন, ১৯৭৩ সালে। এর আগে কেউ এই শহরের রহস্য জানতো না। অথচ কোরআন শহরটির কথা বলে গিয়েছে ১৪০০ বছর আগে,,,,,,,,,,,,! এতেই প্রমান হয়:- আল্লাহ্ সত্য,,, কুরআন সত্য,,, রাসৃল (স) সত্য,,, এজন মু

আল কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান এর সাদৃশ্য । পর্ব : ০১

আল-কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান এর মধ্য সাদৃশ্য আল্লাহ্ র বানী যে আল- কুরআন তার প্রমান-( ১) কোরআন আল-কারীমে আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন প্রিয় নবী (সা) কে প্রথমে এই বলে সকল মানুষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে বলেছেন যে, পারলে তারা যেন কোরআনের সমমর্যাদার কোন গ্রন্থ বানিয়ে দেখায়ঃ- আল্লাহ্ বলেন,,,,! “বলঃ যদি সকল মানুষ ও জিন মিলে কোরআনের অবিকল কিছু বানিয়ে আনার চেষ্টা করে, তবুও তারা পারবেনা, এমনকি যদি তারা একে অপরকে সাহায্যও করে। [সূরা আল-ইস্রা; ১৭:৮৮] এছাড়া ও [সুরা বাক্বারা : ২৩-২৪] [ সুরা হৃদ :১১ :১৩] আয়াতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন সকল মানব জাতিকে অপেন চ্যালেঞ্জ করেন,,,! ইহুদী, খৃষ্টান অমুসলিম রা অনেক চেষ্টা করলেউ আজ প্রজন্ত কেউ তা করতে পারে নি। আর কিয়ামত প্রযন্ত কেউ পার বেনা। কারন কুরআন এর হেফাযত কারি আল্লাহ্ নিজেই। এতে প্রমান হয়,,,,,! আল্লাহ্ সত্য, কুরআন সত্য, রাসৃল (স) সত্য,, এক জন মুসলিম হিসাবে সকলকে জানার সুযোক করে দেন

১০০ কবিরা গুনাহ

১০০ কবীরা গুনাহ একশতটি কবীরা গুনাহ: ------------------------- 1. আল্লাহর সাথে শিরক করা 2. নামায পরিত্যাগ করা 3. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া 4. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা 5. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা 6. যাদু-টোনা করা 7. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা 8. জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন 9. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ 10. রোযা না রাখা 11. যাকাত আদায় না করা 12. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা 13. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা 14. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া 15. অহংকার করা 16. চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো) 17. আত্মহত্যা করা 18. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা 19. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা 20. উপকার করে খোটা দান করা 21. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা 22. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা 23. জুয়া খেলা 24. তকদীর অস্বীকার করা 25. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা 26. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া 27. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা 28. রাসূল (সা:)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা 29. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা 30. মিথ্যা কথা বলা 31. মিথ

তওবার নিয়ম

তওবার পাঁচটি শর্ত তওবা করা বলতে আমরা সোজা বাংলায় যা বুঝি তা হলো মাফ চাওয়া। আরবিতে তওবা( ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ ) শব্দটি এসেছে তা-আলিফ-বা অক্ষর সংশ্লিষ্ট ধাতু থেকে যার আভিধানিক অর্থ হলো – ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা। ইসলামি পরিভাষায় তওবা বলতে বোঝায় আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে প্রত্যাবর্তনকরা। তওবার গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। অসংখ্য কুরআনের আয়াত ও হাদীস থেকে এর গুরুত্ব সম্বন্ধে আমরা আঁচ করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ: ★“এবং হে ঈমানদারেরা সকলেই তওবা করো আল্লাহ্র নিকট যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।” - [আন-নূরঃ ৩১] ★“তোমাদের রবের নিকট ক্ষমাভিক্ষা করো এবং তার কাছে তওবা করো।” – [হূদঃ ৩] ★“হে ঈমানদারেরা, আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো।” – [আত-তাহরীমঃ ৮] ___________________ শেষোক্ত আয়াতটিতে আমরা দেখতে পাই আল্লাহ্ আমাদের খাঁটি তওবা করতে বলছেন। প্রশ্ন হলো খাঁটি তওবা কীভাবে করা যেতে পারে? ‘আলেমদের মতে তওবা খাঁটি হতে হলে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হয়। এই শর্তসমূহের সংখ্যার ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম আন-নওওয়ী তার বিখ্যাত রিয়াদুস-সালেহীন গ্রন্থে চারটি শর্তের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে শায়খ সালেহ ইবন আল-‘উস

An Amazing Letter From A Muslim Brother

নিচের চিঠিটা একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মেয়েকে দাওয়া তার প্রেমিকের চিঠি।।।এটাই ছিল তাদের সম্পর্কের শেষ চিঠি! . চিঠিটি পড়ে অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম।।।আজও তাহলে এমন মানুষ রয়েছে যে তার নিজের মনের ইচ্ছার বস্তু তথা তার প্রেম কে নষ্ট করেছে আল্লাহ কে পাওয়ার জন্য।।আর সে মেয়েটিও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ইসলাম কে আকড়ে ধরেছে!!! . জানি না সেই কোন সে যুবক-যুবতী, যারা আল্লাহর জন্য নিজের মনকে কোরবানি দিল।তবু দিল থেকে তাদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের এই কোরবানি কে কবুল করেন এবং এর উপযুক্ত প্রতিদান দান করেন।। . . . নুহা (কাল্পণিক নাম), . জানি তুমি ভালো নেই! আমিও ভালো নেই। কারণ টা তোমার জানা। জীবনে কখনো এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে ভাবিনি। আসলে ইলম এক জিনিস আর ঈমান আরেক জিনিস। কোন ব্যক্তির যদি ঈমানের উপর চলমান কোন মেহনত না থাকে এই ব্যক্তি দ্বীন থেকে অবশ্যই আস্তে আস্তে দূরে সরে যাবে এবং একসময় তার গুনাহকে ভালো লাগতে শুরু করবে যা ঈমানের লক্ষণের পরিপন্থি। . . তোমাকে জীবনের একটা চরম সত্য বলি, আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসতাম এবং এর মধ্যে কোন ধোকা ছিলোনা। . কিন্তু বিশ্বাস করো, এক আল্লাহ তায়ালার জন্যই

Reminder of Deaths

রিমাইন্ডার -১ বালক দরজা লক করে পিসির সামনে এসে বসলো । তড়িঘড়ি করে নেট কানেক্ট করে তার প্রিয় এক্স-রেটেড ওয়েবসাইটে ঢুকলো । বালক তখনো জানতো না আর কিছুক্ষন পরেই তার সঙ্গে আজরাইলের এপোয়েন্টমেন্ট আছে ......... রিমাইন্ডার -২ বোন, তুমি যদি জানতে অনেক ছেলেরা তোমার প্রোফাইল পিক বা সেল্ফি দেখে তোমাকে নিয়ে কি চিন্তা করে, তোমার কথা ভেবে বাথরুমে কি করে বা বন্ধুদের ১৮+ আড্ডায় তোমাকে নিয়ে কি আলোচনা করে, তাহলে তুমি হয়তো ফেসবুকে ছবি আপ্লোড করার চেয়ে মরে যাওয়াটাই বেশী পছন্দ মনে করতে......... রিমাইন্ডার -৩ ট্রেনে বা বাসে করে কোথাও যাচ্ছেন । বেশ লম্বা জার্নি । হাতে অফুরন্ত সময় । ম্যাদম্যাদে জার্নিটাকে আনন্দদায়ক করার জন্য ফোন/ ল্যাপটপ বের করে আইটেম সং দেখা শুরু করলেন । এবং কিছুক্ষন পরে ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কোন রিটার্ন টিকিট ছাড়াই পরপারে চালান হয়ে গেলেন......... রিমাইন্ডার -৪ আপনি কোন হারাম কাজ করা অবস্থায় মারা গেলেন । আপনার অকাল মৃত্যু দেখে আপনার হারাম কাজের সঙ্গী সব ইয়ার দোস্তরা তওবা করে আল্লাহ্‌র দিকে প্রত্যাবর্তন করল । আপনার বন্ধুরা সব জান্নাতে চলে গেল । হাশরের ময়দানে আপনাকে একা একা উঠতে হল বি

আমার সৌভাগ্য যে আমি একজন মেয়ে!

অনেক মহিলাকেই বলতে শুনেছি,'কেন যে মেয়ে হয়ে জন্মালাম!' আবার অনেকের একটা পুত্র সন্তানের জন্য কত আকুতি,মেয়ে হলে তারা চরম বিরক্ত!অনেকে আবার ঠাট্টার ছলে বলেন,'ছেলে হলে কত মজা! পর্দা করা লাগেনা,চারটা বৌ জায়েজ,বেহেশতে গেলেও হুর পাবে কতগুলা.....' ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা মেয়ে হয়ে জন্মানোর যে কতো সুবিধা তা যদি তারা বুঝত!অসংখ্য ফজিলতের সামান্য কিছু বিবরন দেয়ার চেষ্টা করছি- ১. একটা মেয়েকে তার জীবদ্দশায় কখনই তার ব্যায়ভার বহন করতে হয়না। যদি তার ব্যায়ভার বহন করার কেউ না থাকে বা অক্ষম হয়,তবে সে যদি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক উপার্জন করে, সে সোওয়াবের অধিকারী হবে। পক্ষান্তরে একটি ছেলে তার মা,মেয়ে,স্ত্রী,বোনের দায়িত্ব নিতে বাধ্য। এ দায়িত্ব পালনকালে তাকে হালাল-হারাম নানা বিষয়াদি মাথায় রাখতে হয়। ২.সবচেয়ে বড় যে পর্দা ছেলে-মেয়ে উভয়কেই করতে হয় তা হল চোখের পর্দা।মেয়েদের যেহেতু ঘরে থাকতে বলা হয়েছে, তারা পরপুরুষের সামনে না বেরোলে এ থেকে অনেকটা হেফাজত থাকতে পারে।অন্যদিকে ছেলেকে যেহেতু কাজে বাইরে যেতে হয়,তার জন্য নিজের দৃষ্টি হেফাজত করে হুর পাওয়া বেশ কষ্টকর (এই জমানায় ম

দাড়ি রাখা, আমাদের ধারনা ও ইসলামিক বিধান

দাড়ি রাখা সম্পর্কে আমাদের একটি ধারনা রয়েছে, সেটা হল ”দাড়ি রাখা সুন্নত, অতএব দাড়ি রাখলে ভাল আর না রাখলে তেমন কোন সমস্যা নেই, একটা সুন্নত পালন করা হল না, এই আর কি।” জেনে রাখুন, এটা সম্পূর্ণই একটি ভুল ধারনা। দাড়ি রাখা কোন অর্থে সুন্নত আর কোন অর্থে ফরজ বা ওয়াজিব আগে সেটা বুঝার চেষ্টা করুন। ইসলামে শরীয়তের বিধানের প্রধান সুত্র হচ্ছে কুরআন ও রাসুল (সাঃ) এর সহীহ সুন্নাহ অর্থাৎ সহীহ হাদিস। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যেসকল বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন ও নিষেধ করেছেন তা পালন করা আমাদের জন্য ফরজ। আশা করি বিষয়টি সকলের কাছেই পরিষ্কার অর্থাৎ বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়। এবার আসুন, দাড়ি রাখা কোন অর্থে সুন্নত আর কোন অর্থে ফরয বা ওয়াজিব সেটা জানার ও বুঝার চেষ্টা করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুরআনে বহু আয়াতে রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ মেনে চলার জন্য আমাদের বলেছেন। তাঁর মানে হল, রাসুল (সাঃ) যে সকল বিষয়ে আমাদেরআদেশ ও নিষেধ করেছেন তা মেনে চলাও আমাদের জন্য ফরজ ওয়াজিব । কুরআনের আয়াতগুলো এখানে দেয়া হল- ”রাসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জা

হিজাব সংক্রান্ত কিছু জরুরী ব্যাপার, যা আমরা সচরাচর মিস করি

খুব জরুরী কাজে কিছুদিন গ্রামে ছিলাম। প্রথম প্রথম গ্রামীন পরিবেশ দেখে খুব ভাল লাগলো। মসজিদ ভরা মানুষ (এমনকি ফজরেও), প্রায় সব পরিবারেই সিস্টারদের মধ্যে হিজাবের প্রচলন। কিন্তু একটা ব্যাপারে এসে দিলটা আটকে গেল, মনটা খারাপ হয়ে গেল। জানিনা এটাকে আমরা কবে শুধরাতে পারবো। মনে করেন, কোন এক তাহাজ্জুদ পড়নেওয়ালা বুজুর্গ ‘ক’ বিয়ে করে নতুন একটা ভিটায় গেল। তার ৩ টা ছেলে ৪ টা মেয়ে হল। সাত ভাইবোন একসাথে বড় হল এবং পরবর্তীতে তার ৪ মেয়ে বিয়ে হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। ৩ ছেলে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ বাড়িতে রয়ে গেল । পরবর্তীতে এই তিন ছেলে বিয়ে করে একই ভিটায় রয়ে গেল। এখন এই ৩ ছেলের প্রত্যেকের ২ টা করে ছেলে আর ২ টা করে মেয়ে হল । মানে মোট ছেলে মেয়ে হল ৬ + ৬ = ১২ জন। এখন এই ১২ জন ছেলে মেয়ে হল বুজুর্গ ‘ক’ এর নাতি-নাতনী। এই বুজুর্গ ‘ক’ এর নাতনীরা (৬ জন) অতি বুজুর্গ, তাঁরা সব সময় যেখানেই যান, হিজাব করে যান। সমস্যার শুরুটা এখানেই। তাহাজ্জুদ পড়নেওয়ালা বুজুর্গ ‘ক’ এটা চিন্তা করতে ভুলে যান, যে তাঁর ফার্স্ট ডিসেন্ডেন্টস ৭ জন ভাই বোন আসলে আপন ভাই বোন, তাঁদের মধ্যে কোন পর্দা/হিজাব নাই: সুতরাং এক সাথে এঁরা বড় হতে পারেন। কিন্তু তা

এপ্রিল ফুল (fool): নিজেকে নিজেই বোকা প্রমাণ করছিনা তো ?

১. ইরানে পার্সি ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষের ১৩তম দিনে আনন্দ মজা করা হয়। এই দিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিল ও ২রা এপ্রিল সদৃশ্য। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৬৪ সালে ফ্রান্সে নতুন ক্যালেন্ডার চালু করাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ফুল ডে'র সুচনা হয়। ঐ ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিলের পরিবর্তে ১লা জানুয়ারীকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কিছু লোক তার বিরোধিতা করে। যারা পুরনো ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী ১লা এপ্রিলকেই নববর্ষের ১ম দিন ধরে দিন গণনা করে আসছিল, তাদেরকে প্রতি বছর ১লা এপ্রিলে বোকা উপাধি দেয়া হতো। ফ্রান্সে পয়সন দ্য আভ্রিল(poisson d'avril) পালিত হয় এবং এর সাথে সম্পর্ক আছে মাছের। এপ্রিলের শুরুর দিকে ডিম ফুটে মাছের বাচ্চা বের হয়। এই শিশু মাছগুলোকে সহজে বোকা বানিয়ে ধরা যায়। সেজন্য তারা ১ এপ্রিল পালন করে পয়সন দ্য এভ্রিল অর্থাৎ এপ্রিলের মাছ। সে দিন বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের পিঠে কাগজের মাছ ঝুলিয়ে দেয় তাদের অজান্তে। যখন অন্যরা দেখে তখন বলে ওঠে পয়সন দ্য আভ্রিল বলে চিৎকার করে। কবি চসারের ক্যান্টারবারি টেইলস(১৩৯২) বইয়ের নানস প্রিস্টস টেইল এ এই দিনের কথা খুজে পাওয়া

প্রবৃত্তির সাথে লড়াই - ( শাইখ আবদুল্লাহ আল আযযাম )

“..সুতরাং, তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে লড়ো, তখন, যখন তোমার পক্ষে ইচ্ছাপূরণ করা সম্ভব। মানুষের মন কিছুতেই ভরে না। তাই ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষাকে সুযোগ দেওয়ার অর্থ হলো – এক আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত লোকের সমুদ্র থেকে পানি খাওয়ার মতো। সে যতো বেশি পানি খায়, ততোই তার পিপাসা বাড়তে থাকে, কারণ সমুদ্রের নোনা জলে এই পিপাসা কখনোই মেটার নয়। রোমানদের দেখো, তারা সবরকম খাবার আর মিষ্টি খেতো। কোনোটা বাদ দিতো না। একসময় এমন অবস্থা হলো যে তাদের খাবারের রুচিই চলে গেলো। তখন তারা উপবাস থাকতে শুরু করলো, যাতে আবার খাবারে রুচি ফিরে পায়! তেমনি করে, তারা যৌনমিলনেও এতো বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়লো যে একটা সময়ে নারী দেখলেই তাদের ঘেন্না হতে লাগলো! তখন তারা শহর ছেড়ে দূর-দূরান্তে চলে যেতো, এরপর নারীর প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ ফিরে এলে শহরে ফিরে আসতো। পশ্চিমারা তো এখন যৌনতাকে এতো সস্তা করে ফেলেছে যে খাদ্য, পানীয়, অক্সিজেনের মতো “যৌনমিলন”ও এখন সর্বত্র বিরাজমান! কিন্তু ফলস্বরূপ কি দেখা যাচ্ছে? অগণিত ধর্ষণের কাহিনী, যৌনতার কারণে ছড়িয়ে পড়া নানান রকম রোগ, ইত্যাদি। এর কারণ হলো, মানুষের খায়েশ কখনো মেটে না। আকাঙ্ক্ষার কোন শেষ নেই। সাধ-আহ্লাদকে যে

হস্তমৈথুন থেকে মুক্তি লাভের উপায়

; হস্তমৈথুন ও Diet Meal Plans: - কিছু কিছু খাদ্য দ্বারা আমাদের Libido (desire for sexual activity ) নিয়ন্ত্রিত হয় । এই বিষয়ে Cynthia Sass (author of S.A.S.S Yourself Slim) বলেন -- "Studies show that certain foods or nutrients do play a role in boosting libido and supporting a healthy sex life." [1] যেসব খাবার Libido বাড়ায় তাদের বলা হয় Aphrodisiac Foods বলে। Aphrodisiac Foods মানুষের Libido বাড়াতে সাহায্য করে, এই জন্য একে Foods of Love ও বলা হয় । অপরদিকে Anti-aphrodisiac বা Anaphrodisiac Foods মানুষের Libido কমাতে সাহায্য করে । তাই আপনার ফুড প্ল্যানে যদি Aphrodisiac Foods বেশি থাকে তাহলে আপনার Sexual Urge ঘন ঘন হতে পারে এবং পাওয়ারফুলও হতে পারে। তাই হস্তমৈথুন রোধে আপনাকে একটা ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলতে হবে যেখানে Aphrodisiac Foods এর পরিমাণ অতিরিক্ত হবে না । Anti-aphrodisiac foods গুলো আমি খেতে বলব না কারণ এইগুলোর খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয় যদি Aphrodisiac Foods খাওয়া কমিয়ে দেয়া হয় । আমি কিছু Aphrodisiac

100 Instructions From Quran

1. Do not be rude in speech (3:159) 2. Restrain Anger (3:134) 3. Be good to others (4:36) 4. Do not be arrogant (7:13) 5. Forgive others for their mistakes (7:199) 6. Speak to people mildly (20:44) 7. Lower your voice (31:19) 8. Do not ridicule others (49:11) 9. Be dutiful to parents(17:23) 10. Do not say a word of disrespect to parents (17:23) 11. Do not enter parents’ private room without asking permission (24:58) 12. Write down the debt (2:282) 13. Do not follow anyone blindly (2:170) 14. Grant more time to repay if the debtor is in hard time (2:280) 15. Don’t consume interest (2:275) 16. Do not engage in bribery (2:188) 17. Do not break the promise (2:177) 18. Keep the trust (2:283) 19. Do not mix the truth with falsehood (2:42) 20. Judge with justice between people (4:58) 21. Stand out firmly for justice (4:135) 22. Wealth of the dead should be distributed among his family members (4:7) 23. Women also have the right for inheritance (4: